দুটি কবিতা
-সেলিম মিয়া
এখনো ভুল করে
এখনো ভুল করে ঘুমের ঘোরে
হাত দুটো তোমাকে ছুঁতে যায়,
শূন্যতার স্পর্শে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
অথচ পূর্ণতার স্পর্শে আবার ঘুমানো
আমার জীবনে জ্বলে ওঠা নক্ষত্রের মতো সত্যি ছিলো!
এখনো ভুল করে দরজায় করাঘাত শুনি
তুমি ভেবে খুলতে যাই
খুলে দেখি কেউ নাই!
অথচ এক সময় তোমার জন্য দরজা খোলা
আমার জীবনে রোজকার একটা সত্যি ছিলো!
এখনো ভুল করে তোমার গন্ধ ভেসে আসে
ব্যালকনিতে দাঁড়ালে দখিনা বাতাসে
ফাগুন কিংবা চৈত্র মাসে।
অথচ এ সময় তোমার গন্ধে স্নান করা
আমার জীবনে অন্য রকম একটা সত্যি ছিলো!
এখনো ভুল করে মুঠোফোনের ইনবক্সে যাই
তুমি ছাড়া অন্য সবার মেসেজ পাই
উৎসব কিংবা বার্ষিকীর প্রাক্কালে।
অথচ এ সময় একটু দূরে থাকলে তোমার মেসেজে
আমার মুঠোফোনের ইনবক্স উছলে পড়তো!
এখনো ভুল করে কোনো কোনো রাতের আকাশ
তারায় তারায় জ্বালিয়ে রাখি আগের মতো
আর চাঁদকে বলি জোছনার চাদর বিছিয়ে দিতে।
অথচ এমন মাহেন্দ্র ক্ষণে ইচ্ছেমতো গড়াগড়ি খেলা
আমার জীবনে এক সময় বাস্তব দৃশ্য ছিলো!
পরিণাম
যে অর্থে হারায় রাত তার সবটুকু আলো
সেই এক অর্থে আমি হারিয়েছি যে তোমায়।
আর বহু অর্থে তুমি হারিয়েছো তো আমায়;
তবুও সে এক অর্থ সব অর্থকে হার মানায়।
যে কারণে ফোটে ফুল বহু সাধনার পর
সেই এক কারণে ফুটেও আমি বৃথা ঝরে যাই।
আর অনেক কারণে তুমি নিত্য ঝরে যাও
তবু সে এক কারণ সব কারণের কাছে তুচ্ছ থেকে যায়।
যে দামে কিনে খদ্দের একবার ঠকে যায়
সে দামে আমিও কিনে একবার ঠকে আছি
আর বহুবার ঠকো তুমি নানা বিক্রেতার কাছে
তবুও সে এক ঠকা সব ঠকাকে ছাপিয়ে যায়।
যে লক্ষ্যে পতঙ্গ আগুনেও লাফ দেয়
শুধু সে লক্ষ্যে আমিও লাফ দিয়েছি আগুনে
আর বহু লক্ষ্যে তুমি পুড়ছো নিজেকে বারবার
তবুও সে এক পোড়া সকল পোড়াকে ছাড়িয়ে যে যায়।
Be the first to comment